বরিশালের হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের পুরাতন হিজলায় স্বামীর সাথে কথা কাটা-কাটি করে গৃহবধূ রহিমা বেগম গলায় ফাস দিয়ে আন্তহত্যা।
গত রবিবার আনুমানিক ৪টার দিকে রহিমার স্বামী কবিরের সাথে বাড়িতে জাতায়াতের রাস্তায় বাস দিয়ে রাখার বিষয় নিয়ে এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিতর্ক সৃষ্ট্রি হয়। একপর্যায়ে রহিমা কথা কাটা-কাটি শেষে বাবার বাড়ি ফোন দিয়ে বিষয়টি তার ছোট বোন ফাহিমাকে জানান। ফাহিমা তার স্বামী ফারুক’কে বিষয়টি জানিয়ে রহিমার স্বামীর বাড়িতে যেতে বলেন, ছোট বোন জামাই ফারুক রহিমার সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে সান্তনা মূলক কথা বলে কবির দর্যি’কে নিয়ে পুরাতন হিজলা বাজারে চা-খাওয়ার জন্য যান সেখান থেকে আনুমানিক সাড়ে পাচটার দিকে কবিরের বাড়িতে দুজনেই আসেন।
ফারুক বলেন বাড়িতে ঢুকতেই দেখি রহিমার ঘরের দরজা বন্ধ সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে দেখতে পান রহিমার ঝুলন্ত লাশ ইনসেটে রহিমার লাশ।
ফাহিমা জানান রহিমার স্বামী কবির ও তার পরিবার প্রায়ই রহিমাকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের যের সহ্য করতে না-পেরে রহিমা আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়। এই ঘটনার পূর্বেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-িঝাটি হওয়ার পরে রহিমা বাবার বাড়ি চলে এসে প্রায়ই ৩ থেকে ৪ মাস থাকতেন।
পরে ফারুক ও রহিমার স্বামী প্রতিবেশিদের ডেকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে রাহিমা’কে অটো ভ্যান যোগে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্মরত ডাক্তার রহিমাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পরে রহিমার মরদেহ তার নানার বাড়ি শ্রীপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি হিজলা থানায় জানালে হিজলা থানা পুলিশ গিয়ে রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন, এবং স্বামী কবির’কে গ্রেফতার করেন হিজলা থানা পুলিশ।
হিজলা থানা ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার জানান এই বিষয়ে হিজলা থানায় স্বামী স্ত্রীকে আত্নহত্যার প্ররোচনা দেয়ার জন্য রহিমার স্বামী কবির দর্জির বিরুদ্ধে হিজলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
Leave a Reply